পোস্টগুলি

এপ্রিল, ২০১৭ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কলঙ্কিনীর প্রেম

ছবি
আরে বাবা ভয় কিসের এ তো চারিত্রীক কলঙ্ক নয়।  "এত ভালোবাসার মানুষকে হারালে " এমন যদি কেও কয়। না না তুমি ভয় পেওনা, আমি ভালোবাসাহীন থাকলেও, তোমার কলঙ্ক হতে দেবোনা। আমি ভালো থাকবো, থাকবো তা নিয়ে ভেবোনা। আমি তোমায় ভালোবেসে যাবো, যে আমায় ভালোবাসেনা তাকে ভালোবেসে হয়তো শূন্য হবে জীবনের দাম। হয়তো ইতিহাস দেবে  অমর প্রমিকের নাম। সব বলে দিয়েও মনে হয় কিছু থেকে গেছে বাকি। ক্ষমা করে দিও, যদি তোমায় এইটুকু যাতনা দিয়ে থাকি।

শেষ কথা

এখন কষ্ট নিয়ে বাচতে শিখেছি,সুখের আশা করিনা, তাই আর তোমার ফেরার আশায় খনে খনে মরিনা। দুঃখ করিনা যে তুমি চলে গেলে, বরং আমি সুখি তুমি গেছো বলে। বলে গেছো, যে মানুষ তো মানুষ হয়না, রক্ত মাংসের তৈরী হলেই সবারে তো আর মানুষ কয়না। ভুল ধারনা করে নিজেকে মানুষ ভেবে, পেয়েছি প্রতিঘাত, যদিও আমি হই মানুষ, দেখো দুজনের মধ্যে কতটা তফাত। রেখেছো যদিও আমায় ভালোবাসা হীন, তবু চুকিয়ে দিতে চাই আজ কিছু ঋন। সেই পথ গুলোকে আজ ধন্যবাদ দিতে চাই, যেই পথ দিয়ে হেটে গেলে আমি আজও তোমার পদধ্বনি শুনতে পাই। আজ ধন্যবাদ দিতে চাই সেই ভাষাকে, যে তোমার সন্মুখে ফুটিয়ে ছিল আমার মনের আশাকে। শেষ বারের মতো কিছু বলতে চাই, রেখে দিও বুকে, আর যদি ইচ্ছে হয়, ফেলে দিও ডাস্টবিনের মুখে। সিঁথিতে কারো নামের সিদুর যেদিন তুমি নেবে, সেদিন হোয়াট্সঅ্যাপে একখানা ছবি আমায় দেবে? পা দুখানা যেদিন তুমি আলতার রঙে রাঙাবে, প্রথম পরশ মনে মনে আমার বুকে লাগাবে? চলতে চলতে যেদিন আমি থমকে যাবো শেষে, এক ফোটা অশ্রুকনা ফেলবে তুমি এসে? তোমাকে ভালোবেসে অবহেলা পেলাম যবে, সেদিন থেকে প্রার্থনা করেছি, তোমার দিন গুলো যেন কাটে কলরবে। ঈশ্বরকে আমি বলি, তুমি

শেষ বেলা

তুমি নেই আসে পাশে, তবু কি তুমি আরালে? এখন তুমি আরো বেশি, রক্ত ধারায় জড়ালে। চোখ এখন পায়না দেখা, হৃদয় তোমায় দেখে। আমার বুকে আপন ছবি, গেছো তুমি রেখে। একটু খানি স্বপ্ন ছিলো, বাচবো তোমায় নিয়ে। আন্ধকারে রেখে গেলে, সুখের আশা দিয়ে। থাকো যতো খুসি দূরে, সুখের সংসারে। সুখী তুমি হবে সখী, সুখের আশা করে। আমি পথিক নিঃরূদেশে, শুধু ভেসে যাবো। কি জানি কোন বিদেশে, নিজেকে হারাবো। তুমি থাকো সবার মাঝে, হয়ে চোখের মনি। তোমার হাসি তোমার খুসি, চায় হৃদয় খানি। শেষে তুমি যাওনি বলে, আমার আজানা ভুল? তবু কেন ফিরে আসো? কেন? বেদনার মুল?                   

এক অর্ধ চেনা মেয়েকে

তোমার আমার আল্প দিনের পরিচয়, তবু কেন তোমায় এতো আপন মনে হয়? তোমার দু চোখে অফুরন্ত জ্যোতি দেখতে পাই, যেন সন্ধার বক ছুটেছে কোনো বাধা নাই। তুমি মেঘ হীন শান্ত আকাশের তারা। আমার মতোই জুড়াবে প্রাণ, দেখবে যারা। তুমি ভোরে ঘাসের উপর কুহেলির নির, তুমিই সিসির বিন্দু আগায় কচিঁ পাতাটির। তুমি শান্ত মৃদু হাওয়া, আমায় পরশ দিও। বিপরীতে যদি চাও হৃদ কৌপিন খানা নিও। তোমার চোখ, যেন বৃষ্টির পুর্বাভাস আবার উজ্জল রোদের কনা, কাজল যেন রাত্রী পারাবার। তুমি আমার প্রাণেতে প্রাণ দিয়েছো, অপরিচিতা। রূপের তুলনা হয়না, তুমি যে সঞ্চয়ীতা। মৃত্যু কামি মানুষ বাচাবে তোমার সংশ্পরসা, ভাগ্যবান পাবে জানি তোমার ভালোবাসা। তুমি বিচিত্র,তুমি অসময়ে সংসারের ভরসা, তুমি আপন হাতে গঢ়বে আপন মনের আশা। তোমার রূপ লাবন্যে আমি মুগ্ধ জানো? আমিতো কবি নই তুমি মানো বা না মানো। তবু মনে হয় তুমি যেন কলমের ধার। আর ইচ্ছে হয়, তোমার নিয়ে লেখি বারবার। আকাশে উরে যেমন খোলা পাখি, তোমাকে ঠিক তেমনি স্বাধীন দেখি। হয়তো তুমি এক মেয়ে তবু সামান্য নও, আমার স্বপ্ন কন্যা তুমি যে হও সে হও। তোমাকে তো অল্প চিনি কিবা তোমা

খোলা দ্বার

এক বেলা সুস্বাদু খাবারের লোভে রেস্টুরেন্টে যাওয়ার প্রয়োজন কি? সূর্যাস্ত দেখতে  কন্যাকুমারী যাওয়ার প্রয়োজন কি? তুমি আমার ঘরে চলে আসলেই হবে। দরজার কড়া নড়ানোর প্রয়োজন নেই। শুধু দরজার কাড়াটা বন্ধ করতে ভুলো না।...

পাষানী

পাষানী আজি শরতের প্রভাতে সখী পাখিরা গাহিছে গান। চিঁহি চিঁহি কোলতানে মোর জুরায় মন প্রাণ। রবির প্রথম রাঙা আলো পরেছে আমার গায়। উকি মেরে মেরে চাহিতেছে মোরে আবছা কিছু তারায়। তৃণের গায়ে কুহেলির নির দিয়াছে পা ভিজায়ে। শান্ত মৃদু হাওয়ারা শুধু আমার পরশ চায়। এরা সবাই তো ভালবাসিলো দেখতো কতটা দানী। তুমি কেবল রহিলে দূরে হায়রে হায় পাষানী।

কবিতা তোমাকে

মুখ বুঝে থাকতে থাকতে বোবা পৃথিবীতে হয়তো হয়েছি লাস। ভেবেছিলাম রাত্রি শেষে জাগাবে তুমি এনে দেবে উল্লাস। তোমার ব্যস্ততা, ঘুরেও দেখনা! কত ব্যথা এ বুক জুড়ে, তবুও হাসি। আমি জানি, তুমিও আমিই, দিন রাত থাক দূরে তবু হৃদয়ের কাছাকাছি। তোমার আমি অভিমানি ভালোবাসি তাও। মেঘলা মনে আকাশ ঝরে ভিজিয়ে আমায় নাও। নিঃসঙ্গ রাত এখন একলা থাকার অভ্যাস ভালবেসে চলি, পথ চেয়ে থাকি কোন রাতের পর আসবে ভোর হয়ে? রাত পার হয় করি আর একটি রাতের আশ্বাস। কোন ভোরে আসবে তুমি? ঘুম ভাঙার ক্লান্তি জড়ায়। থাকি চেয়ে জানালায়। সেদিন বৃষ্টিতে তুমি আছো ভেবে  ভিজেছি অনেকখন। মেঘেরা যখন গর্জে উঠলো তোমায় খুজেছে মন! জানালা ছোঁয়া রদ্দুর যখন বুকের উপর পড়লো। ভেবেছিলাম আমার ভালোবাসা ঘরটি আমার ভরলো। আবার আসলো নিঝুম রাত থাকলো তোমার কমি। প্রিয়া, কোন ভোরে আসবে তুমি? জানি মেঘলা হাওয়ার মত ভিজিয়ে দেই তোমার মনে। তুমি অদৃশ্যে নাও আমার ছোঁয়া তোমার জমে থাকা দুঃখ গুলো চোখের কোণে। আমারও যে দিন রাত গুলো ভিজিয়েছো। সে তো আজও রয়েছে ভেজা। তবুও হে প্রেয়সী তুমি স্মৃতি গুলো দিয়েছো। স্মৃতি গুলো আঁকলো ছবি, বিনা মেঘে

দীর্ঘশ্বাস

মনে আছে একদিন দুজনেই পাশাপাশি অন্তরের ভালোবাসাকে করেছিলাম প্রকাশ? বলেছিলে,"তোমার হৃদয়ে জন্মজন্মান্তর করবো আমি বাস।" সেদিন তো তোমার বুকেই দিয়েছিলে আশ্রয়, বলেছিলে," এমনই রাখবো হাজার বরস-মাস। তবে কেন আজ ফাকা আকাশের তলে, একা আমি ফেলছি দীর্ঘশ্বাস?....

ইচ্ছে নিয়ে একা

ইচ্ছে আজও হয় তোমাকে ফিরিয়ে আনার, জানি তুমিও আমাকেই পেতে চাও। তবুও চেষ্টা করিনা ফিরানোর... ইতিহাস গুলো খুব স্পষ্ট ফিরে আসে মাথায়। তবুও কথা যে দিয়েছিলাম তাই আজও তোমারই আছি, ইচ্ছে নিয়ে একা।

ফেসবুক প্রেমিকা

শোনো দেবলীনা, তুমি আমার শূণ্য বুকে বাজালে নতুন সুরের বীনা। সত্যি, জানিনা তুমি কে? কি যে তোমার তথ্য, কি বা আসে যায়? তুমি যে হও সে হও, মিথ্যা অথবা সত্য। ইচ্ছে হয়, তোমার রূপে, গন্ধে হয়ে থাকি লীন। নাইবা তোমার বুকের মাঝে হয়ে যাই বিলীন। জানি, তুমি নিজের দুঃখ নিজে আনিবেনা টানি! তবু জিজ্ঞাস করি, যদি গঢ়তে চাই, হবে কি আমার রানী? তুমি কি জানো? তোমার বিরহে এখন কষ্ট পাই কত। পৃথিবীর অমর প্রেম কাহিণীর প্রেমিক পেয়েছিল যত। জানো? তোমার শব্দ গুলো বড় মধুর, বারে বারে কানে বাজে। আচ্ছা তুমি কি সেজেছো কোনো দিন নব বধুর সাজে? তুমি হয়তো ভাবছো, কেন জিজ্ঞাস করলাম একথা। আসলে তোমাকে আমি সাজাতে চাই, আমার পতিব্রতা। তোমায় বলবোনা ভালোবাসি, তবু ভালোবাসবো। যদি হোতে চাও আমার, যত দূরেই থাকো নিয়ে আসবো। শুধু ভালোবেসে যাবো, তুমি যে হও সে হও দেবলীনা। আর জিজ্ঞাসাও করবোনা আমায় ভালোবাসো কিনা।

রয়ে গেলাম অকবি

শুনেছিলাম, প্রেমে পরলে নাকি লোকে হয়ে উঠে কবি। আমি যে পোড়া রয়ে গেলাম আজও অকবি। হাতে কলম তুলি, ভাবি লিখবো, পাছে যার জন্য লিখবো সে কি পড়বে? জানি আমার সকল লেখা তার ডাস্টবিনে ঝরবে। ছাতাঃ শব্দগুলোও হারিয়েছে কোথায়! কিজানি কোনো আচেনা কবিতার খাতায়। হাজার চেষ্টা করেও একটি শব্দ না পাই। মাথাটা আমার পুরে একেবারে হয়ে গেছে ছাই। ভেবেছিলাম প্রেমে পরে এই অকবি হবে কবি। আজ জানলাম মিথ্যে আমার ভ্রম ছিল সবি।

প্রভু

লক্ষ কোটি সবার মাঝে ছড়িয়ে আছো তাই, সব দিয়েছ তুমি প্রভু যা কিছু আমি চাই। খুঁজেছি তোমায় বাইরে প্রভু অন্তরে তুমি মোর, তাকিয়ে আমি আকাশ পানে ভাবছি বড় জোর। অন্তরে তুমি অন্তর্যামী বাইরে কোথা পাই? সবটা জেনেও পাগল আমি বাইরে খুঁজে বেড়াই। তুমি যে আছো সকল দ্রব্যে গায়কের সুরে গানে, আছো মোর লেখনী মাঝে আছো বীনার তানে। তুমি যে প্রভু সর্ব শক্তি শক্তির আধার, তাইতো প্রভু আকাশ মাঝে রূপ দেখি তোমার। আমি যে প্রভু সবচেয়ে তুচ্ছ তোমায় মিশিতে চাই, তুমি ছাড়া এই পুরো সৃষ্টির, আমার গতি নাই।

একাকী রাত

অনেক আশায় রাত জেগেছি কওনি কথা, অপরাধ কি? তুমি ছিলে নিরবে সেথা। জানি কেউতো আছে, হয়তো তোমার দুঃখ, তাও তো আমায় কওনা। তাই তো এই অপদার্থকে কাছে টেনে লওনা। তোমাকে ভালোবেসে অবহেলা পেলাম, আর বলবোনা ইত্যাদি, ইত্যাদি। শুধু এইটুকু বলতে চাই, একটিবার আমর ভালোবাসা বুঝতে যদি।

প্রসংসা

কে, কে তুমি আমায় বাণ মেরেছো, মিথ্যে প্রসংসার? এই কারণেই হচ্ছে হয়তো আমার সকল  হার। মিত্যে সে নয়, মিত্যে সে নয়, বলছো ক্রোমাগত। আমিও তাকে সত্যি ভেবেই নিচ্ছি অবিরত। মিথ্যা কিবা সত্যি, আমি করিনি  নিরুপন। প্রসংসাতে সবই আমার করেছো হরন। জানো, আমি হতে পারতাম শতভিসা তারা, আমায় দেখে হাত নারাতো, ভালোবাসে যারা। হতে পারতাম আমি এক পাহার ঘেষা রাস্তা। তোমার প্রসংসা পেয়ে দেখো কি অবস্তা। হতে পারতাম আমি, শান্ত মৃদু হাওয়া শরীরে শিহরন দিতো, আমার আসা যাওয়া। হতে পারতাম আমি নিশ্চয়, প্রভাতের আলো। মুখেতো তুমি মিষ্টি ছিলে, কে জানে পেটে কালো। হতে তো পারতাম আমি, বৃষ্টি ঝিরঝির, শরত প্রভাতে আবার কুহেলির নির। হতে তো পারতাম আমি, সাগরের ডেউ, তুমি যে লুটে গেলে, জানলোনা কেউ। একটি প্রেমের কবিতা, হতে পারতাম আমি! বা কারো কাননের ফুল সবচেয়ে দামী। হয়তো হতাম, আমি কোনো সুমিষ্ঠ এক ফল। নাইবা হতাম শ্রাবণ মাসে, ভরা গঙ্গার জল। শ্রেষ্ঠ হবার সাদ ছিলোনা, একটু ছিলো আশা। সেইটুকু যে নিয়েছে কেরে, তোমার ভালোবাসা। কে, কে গো তুমি আমার সর্বনাসী? মিথ্যে, মিথ্যে শুধু বলে গেলে তোমায় ভালোবাসি। চেন

মা

মা, নে না আমায় নিজের করে, শুনেছি সকলেই তোর, জগত সংসারে। জানিস মা, আজ বড় বেথ্যা বুকে! অনেক কিছু বলতে চাই, কথা নেই মুখে। বুকে ঘাঁ নিয়ে, মায়ের কাছে এসেছে ছেলে, মা রে আজ নে না আমায় কোলে। মা সব ছারিয়ে এসেছি তোর কাছে, আজই নে, আবার কোন মায়া টেনে নেবে পাছে। তোর বা কি আছে প্রোয়জন, তবু রাখ না, তোর সন্তানের মন। তুইতো জানিস, কত জটিল এ জগত, অধমে ধরেছে আজ জীবনের পথ। তোর কাছে, মিটে গেলো জনমের সাদ, নতুন সূর্য দে নতুন প্রভাত। লজ্জা হয়, তবু বলি-ভোলা না সব কষ্ট, পুরাতন মন আমার করে দে না নষ্ট। জগতজননী তুই দে না আশ্রয়, আমার আমিকে তুই করে দে না খয়। মা, আমায় নে না নিজের করে, শুনেছি সকলি তোর জগত সংসারে।                          

অবসন্নতা

আমাকে কেন জোরিয়ে রেখেছে, কিছু আলস ভাব? কোনো কাজেই মন লাগেনা, দৃরতার অভাব। সারা দিন শুধু ভেবেই মরি, কি করা যায় আজ, দিন শেষ হয়ে রাত এসে পরে, , পাই নিজেই লাজ। করবো করবো ভাবতে ভাবতে, পার হয়ে যায় দিন, প্রতিনিয়ত আমার কাটছে, এভাবে কর্মহীন। অবসন্নতা কেনবা আসলো, এমন ঝিম ঝিম? জীবনতো সবে শুরু হলো, এখনি টিম টিম। নিজের হাতে করছি নষ্ট, নিজের ভবিষ্যৎ, অলস ভাব কিভাবে যায়, কেউ কিছু দাও মত? আমাকে আমি শেষ করছি, অবসন্নতা এনে, দয়া করে কেউ এনো না, অলস ভাব টেনে। অলস্যতা ধংস করে, দামী জীবনটা, কেউ হয়তো বলতে পারে, অলস্য কোনটা? এই যে, করবো করবো, ভাব রেখোনা, না না দিন, খন, বার চেয়ে থেকোনা। যখন যা হয় করনিয়, সময় মতো করো, না হয় আবার অলস হয়ে, আমার মতোই মর।                             

প্রিয়ার স্মৃতি

ছবি
মনে নেই তুমি নিজে গেছিলে, না আমি ফিরিয়ে দিয়েছিলাম, কিন্তু আজ মনে হয়, সেদিন আমি ভুল নির্নয় নিয়েছিলাম। তুমি ছলে যাওয়ার পর, হয়েছি আমি প্রেমের ভিকারী, এখন মনে হয় জীবন তরীতে, আমি টেনেছিলাম দারী। আজ আমি হতাশ জানো, আমি একেবারে নিরুপায়। একটুখানি বেচে আছি, প্রাণ তো আমার যায় যায়। এখন আর মনে নেই তোমাকে ফিরিয়ে দিয়েছিলাম, না তুমি গেছিলে। তোবু আজ কষ্ট হয়, সম্পর্কটা নষ্ট হলো কি জানি কোন মিছিলে। তোমার কষ্ট, আমার কষ্ট, তুমি যতটা ভাবো আমি তোতটা নই নির্দয়। তুমি আমার, আমি তোমার, কপালে ছিলাম না বোধয়। তুমি সুখী হও সখি, চেষ্টা করো আমাকে ছাড়াও তুমি সুখী হবে নিশ্চয়। আমি এখন মরুভুমি, আমার মধ্যে জল খুজে, তুমি করোনা সমহয়ের অপচয়, জানিনা তুমি নিজে গেছিলে, না আমি ফিরিয়ে দিয়েছিলাম, আজ কষ্ট হয়।                      

বিস্ফোরণ

ছবি
মানবিকতার আবমাননায় হয়েছো তুমি স্মৃতি, অসমাপ্ত মানব জীবনে টানলে তুমি ইতি। এটাতো ছিলনা অন্ত তোমার, তুমি প্রাণে ছিল জীবন্ত। আজ ঘরেতে এসেছো ফিরে তুমি প্রাণহীন অজীবন্ত। পথ চেয়ে ছিল মাতৃ তোমার, প্রিয়জন কত কেহ। আশা সব তোর পুড়ে হোলো ছাই, ছাই হোলো তোর দেহ। নির্দোষী তুমি পেয়েছ শাস্তি, দোষটা ছিল কার? অমানবিক হত্যালীলার হয়েছ তুমি শিকার। চির বিরহের দুঃখ নিয়ে বুকে, নিরবে সয়েছ ক্ষতি! অসমাপ্ত মানব জীবনে টানল তারা ইতি।

সে কেনো বেশ্যা?

ছবি
আমি আজ তাকে ভালোবাসতে চাই, যাকে ঘৃর্ণা করে সবাই। তার সাথে শোয়ার সাদে ভালোবাসি না। সে দেহ বিক্রী করে পেটে খায়, হাসি না। তাকে একটু সন্মান দিতে চাই, দেখি বিপরীতে কি পাই। জানি, ভালো না তার অঙ্গ ভঙ্গিমা, করুণা করে দেখি, সেও কারো মেয়ে, কারো মা। মায়া ভরা, অশ্রুচোখে বলবো, এ কাজ করো না, সমাজের কাছে প্রতিনীয়ত বোন তুমি মরণা। কাল আবার কাওকে ভালোবাসবো, দেহের সুখ মেটাতে নয়। আচ্ছা, তোমরা কি লজ্জা দেবে? সে যদি আমায় ভাই কয়। তোমরা যদি মানো সব তার ইচ্ছায় হয়, তবে সে কেন বেশ্যা? বোন বললে নেই ভয়। মিটিয়ে দেখি তার পেটের জ্বালা, তার পরেও কি পরবে সে, এই নামের মালা? তাকে উরতে শেখাবো, দিব খোলা আকাশ, ক্লান্তি তাকে জরায়ে রাখবে না, আমার বিশ্বাস। আমি আবার কাউকে ভালোবাসতে চাই, সমাজে যার কোনো সন্মান নাই।                           

বৃষ্টি ভেজা সন্ধ্যা

সেদিন, মনে আছে তোমার? বৃষ্টির বিকালে তুমি আর আমি। হয়তো তখন বৃষ্টি পড়ছিলো দুজনের মনে! জানে অন্তর্যামী। আচ্ছা, আরো কোথাও কি জল ঝোরছিলো? তুমি দেখেছো? বনের আর মনের পাতাগুলো কি নোরছিলো? ছবি একেছো? পাহারের গায়ে ঘেসা রাস্তা, শেষ না হওয়া কথা, একটি নদী। ইচ্ছে আজও হয়, কথা ও পথ যদি চলতো নিরবদী। বৃষ্টেতে বৃষ্টির ভেজা চুল, তোমার চোখে মুখে, আচরে পরছিলো। সেদিনের ভেজা, তেমন প্রথম ভেজা আমার ইতিহাস গঢ়ছিলো। তোমর আর কিছু ভয় ছিলো না, একই কথা বলছিলে, "আমার কাজল নষ্ট হয়নি তো", সেই কথা ও চোখ দুটিতে আমি আজও পাগল। সেদিন বৃষ্টি পড়েছিলো, নদী, মাঠ, রাস্তা, প্রতিটি শাখায়। আর সেই জল আনন্দ হয়ে ছুয়েছিলো, তোমার আমার গায়। হয়তো আরো কত বৃষ্টি, ভোলাবে তমায় সেই বৃষ্টির বেকাল। সেই বৃষ্টি, বৃষ্টি হয়ে আমার চোখে ঝরবে চিরকাল।                                    

সেই বৃষ্টির বিকাল

আমি তখন বিছানায় শুয়ে, এই একটুখানি আগেই দুপুরের খাবারটা সেরে এসেছিলাম। খাবারের পরিমাণ টা বেশি হওয়ার ফলে ঘুম ধরছিল না যদিও রোজ এর মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়ি, সেদিন পড়িনি। বিছানা তেই ঘুরপাক খাচ্ছিলাম, হঠাত মোবাইল টা হাতে নিয়ে ডাটা কানেকশন অন করতেই হোয়াট্স্যেপে ম্যাসেজ আসলো, "সুভ  কি করো?" আমি এইতো  প্রতিনিয়তর মতোই শুয়ে আছি। সে (মোহিনী) বলেছিল," আমি না আজ খুব বৃষ্টিতে ভিজেছি।" ওরে বাবা কি আজব ব্যাপার আজকে আমিও বৃষ্টিতে ভিজেছি।"আজ আসবে, অনেক দিন হলো তোমাকে দেখিনি।" সে বলেছিল। যদিও আমার মনে প্রবল আগ্রহ ছিল যে বলি তাকে তোমার কাছে যেতে পারবো এমন সৌভাগ্যের ব্যাপারটা কি ভাবে আমি অস্বীকার করি, তবে যেহেতু সেই মুহূর্ত টি আবেগীক হওয়ার ছিল না কারণ আমি জানি ও খুব ছেলেমানুষি করে জেদ করে অনেক ব্যপারেই কিন্তু তার মা তখন বাড়িতে ছিলোনা আবার এদিকে সেমিস্টারের পরীক্ষা সামনে ছিলো এরই মধ্যে যদি ওর শরীর খারাপ করে! এই অশুভ ফলাফল টার কথা মনে করেই আমি তাকে বলেছিলাম, " আজ থাক না অন্য একদিন দেখা হবে, দেখতেই তো পাচ্ছ কি অবিশ্রান্ত বৃষ্টি হচ্ছে, ভিজলে তোমার শরীর খারাপ হতে পারে আর এদিকে মা ও ন

নষ্ট মেয়ে

ছবি
ওই মেয়ে, লোকে বলে, লক্ষন নাকি মন্দ। তোর কষ্টের মধ্যেই তারা, নেয় পৈশাচিক আনন্দ। বলে, পুরুষ যেমনি হই! আচরণ পশুর মতো। বাঘের যেমন হরিণ খাওয়া, শাস্ত্র, বিধি সম্মত। অতিব তারা নিষ্ঠুর, ইচ্ছে, তোর মাংস খেতে, মানুষ তুইও, কষ্ট আছে! ভুলে কাম লালসাতে। তলোয়ার শান দিতে চায়, তোর দেহের পরে। পরোয়া করেনা, হায় রে নষ্ট যাস যদিও মরে। পিশাচ তারা বটেই মেয়ে, তুই তো নষ্ট নস। নষ্ট শুধুই দ্রব্য হয়, মেয়ে? নেই দোষ। কত দিবি অগ্নি পরীক্ষা, সতী কি অসতী! আজকে বাধ ভেঙ্গে দে, সতীর নেই ক্ষতি।

সিগারেট

ছবি
তোমার সিগারেটে দেওয়া সুখটান, কেরেছে আমার বুকের সুখ। তোমার সিগারেটের জলন্ত আঙার, তোমার চিতাস্বরুপ। সিগারেট ও তুমি হবে নিঃশেষ,  তোমায় দেবে উপহার খুব দামী কিছু রোগ; কাফ, স্টোমা, আলসার বা কেনসার। তুমি ও সিগারেট দুজনেই পুরছো, শেষ করেছো একে অপরকে। এতো আপন করছো কেনো? সর্বনাশী ঝরকে। তোমার কোমল ঠোটের স্পর্শের জন্য আমি দিতে পারতাম প্রাণ, কিন্ত ওই ঠোটেই প্রতিনিয়ত দিচ্ছ তুমি মৃত্যুকে স্থান। কেন, আমার প্রতি এত বেশি নিষ্ঠুর তমি? কেনো অনির্বান? যে বুকে আশ্রয় দাও নি আমায়, সেই বুকে রোজ কিছু ধুঁয়া কি করে স্থান পায়? অনির্বান যে সিগারেটে মত্ত হয়ে আমায় ভুলতে চাও! সেই সিগারেট টুকুতে কি শান্তি তুমি পাও? আমাকে ভুলার জন্য সিগারেট যেদিন তুললে মুখে, সেদিন মৃত্যুকে আমন্ত্রন দিলে বুকে। তোমার আর সিগারেটের ধোঁয়ার তুমি যে করেছো, এক কৃত্রিম ভালোবাসার সৃষ্টি, এই ভালোবাসা 'কাল তোমার', প্রিয়জনের চোখে নামাবে বৃষ্টি। সকাল, দুপুর, রাতে বাড়াচ্ছো সুখ, কেনো এতো সুখী হোতে চাও? তোমার ধংস্ব, আমার ধংস্ব। অনির্বান সিগারেট ছেড়ে দাও।                 সুরজিৎ মণ্ডল