পোস্টগুলি

কলঙ্কিনীর প্রেম

ছবি
আরে বাবা ভয় কিসের এ তো চারিত্রীক কলঙ্ক নয়।  "এত ভালোবাসার মানুষকে হারালে " এমন যদি কেও কয়। না না তুমি ভয় পেওনা, আমি ভালোবাসাহীন থাকলেও, তোমার কলঙ্ক হতে দেবোনা। আমি ভালো থাকবো, থাকবো তা নিয়ে ভেবোনা। আমি তোমায় ভালোবেসে যাবো, যে আমায় ভালোবাসেনা তাকে ভালোবেসে হয়তো শূন্য হবে জীবনের দাম। হয়তো ইতিহাস দেবে  অমর প্রমিকের নাম। সব বলে দিয়েও মনে হয় কিছু থেকে গেছে বাকি। ক্ষমা করে দিও, যদি তোমায় এইটুকু যাতনা দিয়ে থাকি।

শেষ কথা

এখন কষ্ট নিয়ে বাচতে শিখেছি,সুখের আশা করিনা, তাই আর তোমার ফেরার আশায় খনে খনে মরিনা। দুঃখ করিনা যে তুমি চলে গেলে, বরং আমি সুখি তুমি গেছো বলে। বলে গেছো, যে মানুষ তো মানুষ হয়না, রক্ত মাংসের তৈরী হলেই সবারে তো আর মানুষ কয়না। ভুল ধারনা করে নিজেকে মানুষ ভেবে, পেয়েছি প্রতিঘাত, যদিও আমি হই মানুষ, দেখো দুজনের মধ্যে কতটা তফাত। রেখেছো যদিও আমায় ভালোবাসা হীন, তবু চুকিয়ে দিতে চাই আজ কিছু ঋন। সেই পথ গুলোকে আজ ধন্যবাদ দিতে চাই, যেই পথ দিয়ে হেটে গেলে আমি আজও তোমার পদধ্বনি শুনতে পাই। আজ ধন্যবাদ দিতে চাই সেই ভাষাকে, যে তোমার সন্মুখে ফুটিয়ে ছিল আমার মনের আশাকে। শেষ বারের মতো কিছু বলতে চাই, রেখে দিও বুকে, আর যদি ইচ্ছে হয়, ফেলে দিও ডাস্টবিনের মুখে। সিঁথিতে কারো নামের সিদুর যেদিন তুমি নেবে, সেদিন হোয়াট্সঅ্যাপে একখানা ছবি আমায় দেবে? পা দুখানা যেদিন তুমি আলতার রঙে রাঙাবে, প্রথম পরশ মনে মনে আমার বুকে লাগাবে? চলতে চলতে যেদিন আমি থমকে যাবো শেষে, এক ফোটা অশ্রুকনা ফেলবে তুমি এসে? তোমাকে ভালোবেসে অবহেলা পেলাম যবে, সেদিন থেকে প্রার্থনা করেছি, তোমার দিন গুলো যেন কাটে কলরবে। ঈশ্বরকে আমি বলি, তুমি

শেষ বেলা

তুমি নেই আসে পাশে, তবু কি তুমি আরালে? এখন তুমি আরো বেশি, রক্ত ধারায় জড়ালে। চোখ এখন পায়না দেখা, হৃদয় তোমায় দেখে। আমার বুকে আপন ছবি, গেছো তুমি রেখে। একটু খানি স্বপ্ন ছিলো, বাচবো তোমায় নিয়ে। আন্ধকারে রেখে গেলে, সুখের আশা দিয়ে। থাকো যতো খুসি দূরে, সুখের সংসারে। সুখী তুমি হবে সখী, সুখের আশা করে। আমি পথিক নিঃরূদেশে, শুধু ভেসে যাবো। কি জানি কোন বিদেশে, নিজেকে হারাবো। তুমি থাকো সবার মাঝে, হয়ে চোখের মনি। তোমার হাসি তোমার খুসি, চায় হৃদয় খানি। শেষে তুমি যাওনি বলে, আমার আজানা ভুল? তবু কেন ফিরে আসো? কেন? বেদনার মুল?                   

এক অর্ধ চেনা মেয়েকে

তোমার আমার আল্প দিনের পরিচয়, তবু কেন তোমায় এতো আপন মনে হয়? তোমার দু চোখে অফুরন্ত জ্যোতি দেখতে পাই, যেন সন্ধার বক ছুটেছে কোনো বাধা নাই। তুমি মেঘ হীন শান্ত আকাশের তারা। আমার মতোই জুড়াবে প্রাণ, দেখবে যারা। তুমি ভোরে ঘাসের উপর কুহেলির নির, তুমিই সিসির বিন্দু আগায় কচিঁ পাতাটির। তুমি শান্ত মৃদু হাওয়া, আমায় পরশ দিও। বিপরীতে যদি চাও হৃদ কৌপিন খানা নিও। তোমার চোখ, যেন বৃষ্টির পুর্বাভাস আবার উজ্জল রোদের কনা, কাজল যেন রাত্রী পারাবার। তুমি আমার প্রাণেতে প্রাণ দিয়েছো, অপরিচিতা। রূপের তুলনা হয়না, তুমি যে সঞ্চয়ীতা। মৃত্যু কামি মানুষ বাচাবে তোমার সংশ্পরসা, ভাগ্যবান পাবে জানি তোমার ভালোবাসা। তুমি বিচিত্র,তুমি অসময়ে সংসারের ভরসা, তুমি আপন হাতে গঢ়বে আপন মনের আশা। তোমার রূপ লাবন্যে আমি মুগ্ধ জানো? আমিতো কবি নই তুমি মানো বা না মানো। তবু মনে হয় তুমি যেন কলমের ধার। আর ইচ্ছে হয়, তোমার নিয়ে লেখি বারবার। আকাশে উরে যেমন খোলা পাখি, তোমাকে ঠিক তেমনি স্বাধীন দেখি। হয়তো তুমি এক মেয়ে তবু সামান্য নও, আমার স্বপ্ন কন্যা তুমি যে হও সে হও। তোমাকে তো অল্প চিনি কিবা তোমা

খোলা দ্বার

এক বেলা সুস্বাদু খাবারের লোভে রেস্টুরেন্টে যাওয়ার প্রয়োজন কি? সূর্যাস্ত দেখতে  কন্যাকুমারী যাওয়ার প্রয়োজন কি? তুমি আমার ঘরে চলে আসলেই হবে। দরজার কড়া নড়ানোর প্রয়োজন নেই। শুধু দরজার কাড়াটা বন্ধ করতে ভুলো না।...

পাষানী

পাষানী আজি শরতের প্রভাতে সখী পাখিরা গাহিছে গান। চিঁহি চিঁহি কোলতানে মোর জুরায় মন প্রাণ। রবির প্রথম রাঙা আলো পরেছে আমার গায়। উকি মেরে মেরে চাহিতেছে মোরে আবছা কিছু তারায়। তৃণের গায়ে কুহেলির নির দিয়াছে পা ভিজায়ে। শান্ত মৃদু হাওয়ারা শুধু আমার পরশ চায়। এরা সবাই তো ভালবাসিলো দেখতো কতটা দানী। তুমি কেবল রহিলে দূরে হায়রে হায় পাষানী।

কবিতা তোমাকে

মুখ বুঝে থাকতে থাকতে বোবা পৃথিবীতে হয়তো হয়েছি লাস। ভেবেছিলাম রাত্রি শেষে জাগাবে তুমি এনে দেবে উল্লাস। তোমার ব্যস্ততা, ঘুরেও দেখনা! কত ব্যথা এ বুক জুড়ে, তবুও হাসি। আমি জানি, তুমিও আমিই, দিন রাত থাক দূরে তবু হৃদয়ের কাছাকাছি। তোমার আমি অভিমানি ভালোবাসি তাও। মেঘলা মনে আকাশ ঝরে ভিজিয়ে আমায় নাও। নিঃসঙ্গ রাত এখন একলা থাকার অভ্যাস ভালবেসে চলি, পথ চেয়ে থাকি কোন রাতের পর আসবে ভোর হয়ে? রাত পার হয় করি আর একটি রাতের আশ্বাস। কোন ভোরে আসবে তুমি? ঘুম ভাঙার ক্লান্তি জড়ায়। থাকি চেয়ে জানালায়। সেদিন বৃষ্টিতে তুমি আছো ভেবে  ভিজেছি অনেকখন। মেঘেরা যখন গর্জে উঠলো তোমায় খুজেছে মন! জানালা ছোঁয়া রদ্দুর যখন বুকের উপর পড়লো। ভেবেছিলাম আমার ভালোবাসা ঘরটি আমার ভরলো। আবার আসলো নিঝুম রাত থাকলো তোমার কমি। প্রিয়া, কোন ভোরে আসবে তুমি? জানি মেঘলা হাওয়ার মত ভিজিয়ে দেই তোমার মনে। তুমি অদৃশ্যে নাও আমার ছোঁয়া তোমার জমে থাকা দুঃখ গুলো চোখের কোণে। আমারও যে দিন রাত গুলো ভিজিয়েছো। সে তো আজও রয়েছে ভেজা। তবুও হে প্রেয়সী তুমি স্মৃতি গুলো দিয়েছো। স্মৃতি গুলো আঁকলো ছবি, বিনা মেঘে